সিসি ক্যামেরায় বিদেশী সনাক্ত: এটিএম জালিয়াতি
নিজেস্ব প্রতিবেদক
এটিএম বুথে জালিয়াতির ঘটনায় সিসি ক্যামেরায় পাওয়া ছবি দেখে সনাক্ত করা বিদেশি নাগরিককে ধরতে প্রায় একই রকম চেহারার পাঁচ বিদেশির উপর নজর রাখছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি)মনিরুল ইসলাম বলছেন, আসল আপরাধী কে- সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই তারা তাকে গ্রেপ্তার করবেন।
ঢাকার বনানীতে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) একটি বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে গ্রাহকের তথ্য চুরির ঘটনায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ওই বিদেশির ছবি পাওয়া যায়। পরে ওই তথ্য ব্যবহার করে ‘ক্লোন’ এটিএম কার্ড তৈরির মাধ্যমে গ্রাহকের অজান্তে হাতিয়ে নেওয়া হয় টাকা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউসিবি কর্তৃপক্ষ বনানী থানায় মামলা করে এজাহারের সঙ্গে সিসিটিভির ভিডিও জমা দেয়। ওই বিদেশি যাতে বাংলাদেশ থেকে পালাতে না পারে, সেজন্য বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরগুলোতে নজরদারি চালাতে অনুরোধ করা হয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে।
ঠিক একইভাবে ইউসিবি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ও সিটি ব্যাংকের ছয়টি বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে তথ্য চুরির প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওই যন্ত্র বসানো অবস্থায় বুথগুলোতে ১২০০ কার্ডের লেনদেন হয়েছে। আর এ পর্যন্ত ৪০টি কার্ড ক্লোন করে গ্রাহকের প্রায় ২০ লাখ টাকা তুলে নেওয়ার তথ্য গোয়েন্দারা পেয়েছেন বলে তথ্য এসেছে গণমাধ্যমে।
বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল বলেন, “ফুটেজ দেখে যে বিদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে তিনি সম্ভবত পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশের নাগরিক। তার মতো দেখতে যে পাঁচজনের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে, তারাও পূর্ব ইউরোপের। এর মধ্যে আসল অপরাধী কে তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।”
এদিকে এটিএম কার্ড জালিয়াতির সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষও সোমবার পল্লবী থানায় মামলা করেছে। গোয়েন্দা পুলিশ পুরো বিষয়টির তদন্তের দায়িত্ব পাচ্ছে।
ইস্টার্ন ব্যাংকের যে ২২ জন গ্রাহকের কার্ড ব্যবহার করে টাকা চুরির বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে, তাদের টাকা বৃহস্পতিবার ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/আস